খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
  চার দিনের সরকারি সফর শেষে চীন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  বরগুনার পাথরঘাটায় বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একসঙ্গে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড: ২৪ দিনে প্রবাসী আয় ২৭৫ কোটি ডলার

গেজেট ডেস্ক 

সাত দিন বাকি থাকতেই একক মাসের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। চলতি মাসের ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ড ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ডলারের দর এখন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন সমপরিমাণ এলেও চলতি মাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানে রেকর্ড হতে যাচ্ছে। গত বছর মার্চের ২৪ দিনে এসেছিল ১৫৫ কোটি ডলার। আর পুরো মাসে এসেছিল ২০০ কোটি ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়ে প্রণোদনাসহ এখন যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তা খোলাবাজারের চেয়েও বেশি। সাধারণভাবে হুন্ডি চাহিদা কমলে এমন হয়। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ফলে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। রিজার্ভও স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৬২ কোটি ডলার। এ পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪৬১ কোটি ডলার, যা ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ছাড়া সব মাসেই বেড়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে সারাবিশ্বে লকডাউনের মধ্যে একবার এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছিল। ওই সময় হুন্ডি ছিল না বললেই চলে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ৩৬ শতাংশের বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গত ৯ মার্চ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নামে। পরিশোধের আগে রিজার্ভ উঠেছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে। সরকার পতনের আগে প্রতি মাসে গড়ে ৯০০ মিলিয়ন রিজার্ভ কমছিল। ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। গত জুলাই শেষে তা কমে ২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে নামে। এর বড় কারণ ছিল, আমদানি দায় পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করছে না। বরং আগের ৩৩০ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বেশ সক্রিয়। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১১টি যৌথ বিশেষ টিম কাজ করছে। শেখ হাসিনা পরিবার এবং ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার, অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটনে এসব টিম বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। রেমিট্যান্স চাঙ্গা হওয়ার পেছনে এসব উদ্যোগের ভূমিকা রয়েছে।

খুলনা গেজেট/জেএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!